অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে খাবার বড়ি, যা গ্রহণ করছেন দেশের প্রায় ২৭ শতাংশ নারী। ইনজেকটেবল পদ্ধতি গ্রহণ করেন ১১ শতাংশ, আর কনডম ব্যবহার করেন ৮ শতাংশ। তবে বন্ধ্যাকরণ পদ্ধতি গ্রহণ করছেন মাত্র ৫ শতাংশ নারী, যেখানে পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি মাত্র ১ শতাংশ।
জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় নারীদের ওপর দায়িত্ব বেশি
জাতীয় জরিপ অনুযায়ী, দেশের ৬৪ শতাংশ দম্পতি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করেন, যার ৯১ শতাংশই নারী, আর পুরুষের অংশগ্রহণ মাত্র ৯ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরুষের কম অংশগ্রহণের কারণে অধিকাংশ দায়িত্ব পড়ে নারীদের ওপর, যা স্বাস্থ্যগত ও সামাজিক বৈষম্যের কারণ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংখ্যা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. বিল্লাল হোসেন বলেন,
"পুরুষদের জন্য মাত্র কনডম ও ভ্যাসেকটমি পদ্ধতি রয়েছে, তবে তারা ব্যবহার করতে আগ্রহ দেখায় না। পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা পরিবর্তন না হলে ভারসাম্য আসবে না।"
উপকরণ সংকট ও স্বাস্থ্যঝুঁকি
অনেক নারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় উপকরণ না পাওয়ায় জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিতে পারছেন না। ভোলার বিলকিস বেগম ও ইলিশার রিনা আক্তারের মতো দুর্ঘটনাগুলো এই সংকটের প্রমাণ।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডা. মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার জানান,
"পুরুষদের জন্য এখনো আধুনিক পিল বা ট্যাবলেট তৈরি হয়নি। বেশিরভাগ পদ্ধতি নারীদের জন্যই। কিছু উপকরণের সরবরাহ সম্প্রতি পুনরায় শুরু হয়েছে।"
সমাধানে কী করতে হবে?
বিশেষজ্ঞরা বলেন,
স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে
উপকরণের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে হবে
সচেতনতা ও প্রচারণা জোরদার করতে হবে
পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা পরিবর্তনে কাজ করতে হবে
মেরী স্টোপস বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর কিশওয়ার ইমদাদ বলেন,
"এসডিজি লক্ষ্য পূরণে সবাইকে প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা পেতে হবে। এখনও প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেবা পৌঁছাতে সমস্যা আছে।"