অনলাইন ডেস্ক
আপনি প্রতিদিন অফিস কিংবা ক্লাশে অথবা অন্য কোনো কাজে যাচ্ছেন। এর মাঝের সময়টা কাজে লাগাচ্ছেন কি? কারণ শহুরে জীবনে যানজট খুবই সাধারণ ঘটনা। সব কিছু মিলিয়ে যাতায়াতের সময়টা আসলে কারও কাছেই আর উপভোগ্য থাকে না। তাই বলে বসে থাকলে তো চলবে না। একটা কিছু করুন, যা আপনার জীবন পালটে দিতে পারে।
আর যানজটের নগরীতে যাত্রাপথে অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে যায়। ঘরে ফিরে আর নতুন কিছু শেখার বা করার শক্তিও থাকে না আপনার। তাই যাতায়াতের সময়টাকেই কাজে লাগাতে পারেন। কিছু কাজ আছে, যেগুলো করলে একদিকে যেমন আপনি আরও বেশি প্রোডাক্টিভ হয়ে উঠবেন, অন্যদিকে যাত্রাপথকেও আর বিরক্তিকর মনে হবে না। সেই সঙ্গে আপনার মেধা আর সময় সাশ্রয় হবে।
সে জন্য প্রতিদিনের করণীয় তালিকা রাখা এবং তা মেনে চলার অভ্যাস প্রোডাক্টিভিটি বৃদ্ধি করে। যাতায়াতের সময় একটি তালিকা তৈরি করুন, যা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দিনের কাজগুলো শেয়ার করুন। এটি কেবল চাপই কমাবে না, বরং কর্মক্ষেত্রে মনোযোগী এবং কাজ করার জন্য প্রস্তুত হতেও সহায়তা করবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, আপনার প্রতিদিনের করণীয় তালিকার মাধ্যমে তা মেনে চলার অভ্যাস গড়ে তুলি—
অনেকেই তাড়াহুড়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। পুরো দিনটি কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কে খুব বেশি পরিকল্পনা করার সময় তখন থাকে না। সে জন্য বসে থাকলে চলবে না। আর যাতায়াতের সময় আমরা বেশিরভাগই ফোনে অযথা স্ক্রল করে থাকি। এর বদলে পডকাস্ট কিংবা অডিওবুক শোনার অভ্যাস সময়টাকে প্রোডাক্টিভ হতে সাহায্য করবে।
অতিরিক্ত মনোযোগ না দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আগ্রহ আকর্ষণ করতে পারে— এমন বিষয় বেছে নিন। বিষয়টি ক্যারিয়ার পরামর্শ থেকে গল্প বলা, অনুপ্রেরণা বা কৌতুক যে কোনো কিছু হতে পারে।
এ ছাড়া দেশ ও বহির্বিশ্বের সঙ্গে আপডেট থাকা এবং বাইরে কী ঘটছে তা জানা যে কারও জন্য জরুরি। এটি প্রাসঙ্গিক থাকতে সহায়তা করে। যাতায়াতের সময়টা খবর শুনে কাটাতে পারেন। অনেক সংবাদ অ্যাপ অডিও সারাংশ বা সারসংক্ষেপ খবর সরবরাহ করে, যা না পড়েও কেবল শুনে অনায়াসে আপডেট থাকতে সাহায্য করে।
আবার আপনি চাইলে ভাষা শিখতে পারেন। বিভিন্ন দেশের ভাষা শেখার অ্যাপ বা প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। সেখানে টাস্ক-ভিত্তিক শেখার সময়সূচি প্রদান থাকে। যে কেউ চাইলে ছোট ছোট পরীক্ষা সম্পন্ন করে তাদের উন্নতি ট্র্যাক করতে পারে। এই অভ্যাস আপনার বিরক্তিকর যাতায়াতের সময়ে আত্ম-উন্নতিতে সাহায্য করবে।