অনলাইন ডেস্ক
সম্প্রতি খোলা বাজারে ডলারের দাম ১২৫ টাকা ছুঁয়েছে, যা দেশীয় মুদ্রার জন্য একটি উদ্বেগজনক সংকেত। ব্যাংকগুলোতেও ডলারের দাম বেড়েছে, গত তিন কার্যদিবসে প্রতিটি ডলারের গড় মূল্য প্রায় ৬০ পয়সা বেড়ে ১২২ টাকা ৮০ পয়সায় পৌঁছেছে। এর ফলে দেশের অর্থনীতিতে টাকার মান আরও কমছে, এবং ডলার শক্তিশালী হচ্ছে।
গত সপ্তাহে (২২ অক্টোবর) ব্যাংকে প্রতি ডলারের গড় দাম ছিল ১২২ টাকা ১০ পয়সা, যা বর্তমানে ১২২ টাকা ৯০ পয়সা পর্যন্ত উঠেছে। অন্যদিকে, খোলা বাজারে ডলারের বিক্রয়মূল্য বর্তমানে ১২৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা সাম্প্রতিক সময়ের সর্বোচ্চ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আমদানি বৃদ্ধি এবং রমজান মাসের প্রাক্কালে খাদ্য ও ভোগ্যপণ্যের এলসি খোলার পরিমাণ বেড়েছে, যার ফলে ডলারের চাহিদা বেড়ে গেছে। ব্যাংকাররা জানান, এর ফলে ডলারের মূল্য বাড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে আমদানির জন্য এলসি খোলার পরিমাণ ছিল ৬.৩০ বিলিয়ন ডলার, যা আগষ্টের তুলনায় ১৭.২৯ শতাংশ বেশি। এর ফলে বাজারে ডলার সরবরাহের ঘাটতি তৈরি হয়েছে, যা ডলারের মূল্য বৃদ্ধি করছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রপ্তানি আয় প্রত্যাশার তুলনায় কম আসছে, তবে রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও তা বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে যথেষ্ট নয়।
খোলা বাজারে সোমবার ডলারের ক্রয়মূল্য ছিল ১২৪ টাকা ৯০ পয়সা, এবং বিক্রয়মূল্য ১২৫ টাকা। ব্যাংকগুলোতে সোনালী ব্যাংক ১২৩ টাকায় ডলার বিক্রি করেছে, ইস্টার্ন ব্যাংক ১২৩ টাকা ৫০ পয়সায় এবং সিটি ব্যাংক ১২৩ টাকা ৭৫ পয়সায় ডলার বিক্রি করেছে।
এদিকে, মানি চেঞ্জার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এস এম জামান বলেন, ‘ডলারের দাম খোলা বাজারে তেমন একটা বাড়েনি, তবে ব্যাংকে বেড়েছে।’